ভগাছের ডালে একটা মুখপোড়া হনুমান ৷ হনুমানটার লম্বা ল্যাজ৷ বাঘু তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ছড়া কাটছে -
ভেঙচি কেটে হনুমানটা বলছে পেলে অবিশ্যি খাই৷ কিন্তু বলি, এটা কি কলা খাবার সময়৷
রোদে পিঠ দিয়ে আমি তখন আরাম করছি৷ ফস করে বলে ফেলি, "এটা হল ফুলকপির শিঙাড়া, নলের গুড়ের সন্দেশ আর জয়নগরের মোয়া খাবার সময়৷'
"বুড়ো বয়সে তোমার খুব যে নোলা হযেছে দেখছি৷ কিন্তু বলো দিকি, কো—থায় গেলে জয়নগরের মোয়া মেলে?" এই বলে হনুমানটা গাছের ডালে দোল খায়- যেন সার্কাস পার্টির খেলা দেখাচ্ছে৷
উত্তরটা কী হবে ভাবছি, বাঘুটা তার আগেই হাঁদার মতন বলে ওঠে, "কোথায় আবার মেলে, জয়বাংলা গেলেই মিলতে পারে৷'
ভুগোলে বাঘু বরাবরই কাঁচা৷ ওকে শুধুরে দিতে বলি, জয়রামটি জয়নগরের মোয়ার জন্য বিখ্যাত, তাও জানিসনে হাঁদারাম৷
হনুমানটা তখন জয় রাম জয় রাম বলে দু'বার চেঁচিয়ে কিচির-মিচির কিচমিচ আর হুপহাপ করে খানিকটা হেসেটেসে নিয়ে বলে, যেমন গুরু তেমনি চ্যালা কেউ কিছুটি জানে না৷ আরে বাপু, জয়নগরের মোয়া জয়নগরেই মেলে৷ ট্রেনে মিলবে শেয়ালদা গেলে৷ জয়নগর আমার মামার বাড়ি- মোয়া খাব একটি হাঁড়ি৷ সোঁদরবনের বৃক্ষ ছাড়ি - এই চললু তাড়াতাড়ি৷'
বলতে না বলতেই হনুমানটা হুপ করে দিয়েছে এক লাফ, আর শ্রীমান বাঘুও অমনি তিড়িং লাফে তার ল্যাজটা বাগিয়ে ধরে সঙ্গে সঙ্গে ঝুলে পড়েছে৷
কী দস্যি রে বাবা৷
ভয় পেযে আমি চেঁচামেছি জুড়ে দিই< "করিস কী - করিস কী ছেড়ে দে - হনুমানের ল্যাজ ধরতে নেই - মহাপাপ হবে৷
হনুমানটা ততক্ষণে লাফ দিয়ে আর একটা গাছের ডালে বসেছে৷ বাঘু দিব্যি ঝুলে আছে তার ল্যাজ ধরে৷ বলছে, "আমি যাচ্ছি জয়নগরে - হনুমানজির মামার বাড়িতে৷ জয়নগরের মোয়া না খেয়ে ফিরছি না৷
বাঘুর কথা শেষ হতে না হতেই হঠাত একটা আওয়াজ শোনা যায়৷ বাপ রে, সে কী আওয়াজ৷ আমার পিলে-টিলে সব চমকে ওঠে৷ বাঘু হনুমানের ল্যাজ ছেড়ে দিয়ে ধপাস করে মাটিতে এসে পড়ে৷ হনুমানটা "জয় রাম' বলে চেঁচিয়ে ওঠে৷
আমি আকাশের দিকে তাকাই৷ বাঘুর গায়ের ধুলো-টুলো ঝেড়ে আকাশমুখো হয়৷
একটা হেলিকাপ্টার
খুব নীচু দিয়ে সেটা উড়ে যাচ্ছে৷
"এই হনুমান কলা খাবি
জয় জয়ন্নাথ দেখতে যাবি?"
রোদে পিঠ দিয়ে আমি তখন আরাম করছি৷ ফস করে বলে ফেলি, "এটা হল ফুলকপির শিঙাড়া, নলের গুড়ের সন্দেশ আর জয়নগরের মোয়া খাবার সময়৷'
"বুড়ো বয়সে তোমার খুব যে নোলা হযেছে দেখছি৷ কিন্তু বলো দিকি, কো—থায় গেলে জয়নগরের মোয়া মেলে?" এই বলে হনুমানটা গাছের ডালে দোল খায়- যেন সার্কাস পার্টির খেলা দেখাচ্ছে৷
উত্তরটা কী হবে ভাবছি, বাঘুটা তার আগেই হাঁদার মতন বলে ওঠে, "কোথায় আবার মেলে, জয়বাংলা গেলেই মিলতে পারে৷'
ভুগোলে বাঘু বরাবরই কাঁচা৷ ওকে শুধুরে দিতে বলি, জয়রামটি জয়নগরের মোয়ার জন্য বিখ্যাত, তাও জানিসনে হাঁদারাম৷
হনুমানটা তখন জয় রাম জয় রাম বলে দু'বার চেঁচিয়ে কিচির-মিচির কিচমিচ আর হুপহাপ করে খানিকটা হেসেটেসে নিয়ে বলে, যেমন গুরু তেমনি চ্যালা কেউ কিছুটি জানে না৷ আরে বাপু, জয়নগরের মোয়া জয়নগরেই মেলে৷ ট্রেনে মিলবে শেয়ালদা গেলে৷ জয়নগর আমার মামার বাড়ি- মোয়া খাব একটি হাঁড়ি৷ সোঁদরবনের বৃক্ষ ছাড়ি - এই চললু তাড়াতাড়ি৷'
বলতে না বলতেই হনুমানটা হুপ করে দিয়েছে এক লাফ, আর শ্রীমান বাঘুও অমনি তিড়িং লাফে তার ল্যাজটা বাগিয়ে ধরে সঙ্গে সঙ্গে ঝুলে পড়েছে৷
কী দস্যি রে বাবা৷
ভয় পেযে আমি চেঁচামেছি জুড়ে দিই< "করিস কী - করিস কী ছেড়ে দে - হনুমানের ল্যাজ ধরতে নেই - মহাপাপ হবে৷
হনুমানটা ততক্ষণে লাফ দিয়ে আর একটা গাছের ডালে বসেছে৷ বাঘু দিব্যি ঝুলে আছে তার ল্যাজ ধরে৷ বলছে, "আমি যাচ্ছি জয়নগরে - হনুমানজির মামার বাড়িতে৷ জয়নগরের মোয়া না খেয়ে ফিরছি না৷
বাঘুর কথা শেষ হতে না হতেই হঠাত একটা আওয়াজ শোনা যায়৷ বাপ রে, সে কী আওয়াজ৷ আমার পিলে-টিলে সব চমকে ওঠে৷ বাঘু হনুমানের ল্যাজ ছেড়ে দিয়ে ধপাস করে মাটিতে এসে পড়ে৷ হনুমানটা "জয় রাম' বলে চেঁচিয়ে ওঠে৷
আমি আকাশের দিকে তাকাই৷ বাঘুর গায়ের ধুলো-টুলো ঝেড়ে আকাশমুখো হয়৷
একটা হেলিকাপ্টার
খুব নীচু দিয়ে সেটা উড়ে যাচ্ছে৷
0 comments:
Post a Comment